জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ সই শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে কমিশনগুলো গঠন করেছিলেন, সেগুলো প্রায় আট মাস পরিশ্রম করে আজকের এই সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল। আমি এজন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, সব রাজনৈতিক দল ও জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। যারা সংস্কার কমিশনে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, বিশেষ করে আমাদের দলের সালাহউদ্দিন আহমদসহ সকল দলের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
পরে বিএনপি মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে দলের প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন আহমদকে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জুলাই সনদ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ঘটনা। এই যাত্রার মধ্য দিয়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও দৃঢ় হবে, রাষ্ট্রের সকল অঙ্গে ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। কোনো অঙ্গ অন্য অঙ্গের ওপর কর্তৃত্ব প্রদর্শন করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্য থেকে প্রতিটি অঙ্গ যদি ভারসাম্য রক্ষা করে, তাহলে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মিত হবে—ইনশাল্লাহ। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। এটি কেবল যাত্রার শুরু।’
বিএনপির এই নেতা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে বাকি রাজনৈতিক দলগুলোও এ সনদে স্বাক্ষর করবে।
প্রধান উপদেষ্টা, ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে অনুচ্ছেদ ৬৫-এর উপধারা ২-এ বলা আছে, বাংলাদেশের প্রতিটি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে ৩০০ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। পাশাপাশি সংরক্ষিত নারী আসনও থাকবে।
কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ শুধু নির্বাচন পরিচালনা করা—এটা সত্য, তবে কীভাবে করবে সেটাও সংবিধানে বর্ণিত আছে। তাই জাতিকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই। তারপরও যদি প্রধান উপদেষ্টা আলোচনার আহ্বান জানান, আমরা আলোচনাতেই বিশ্বাস করি।’
পূর্বের পোস্ট :