চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগে ভোটারদের স্বাক্ষর না নেওয়া এবং বহিরাগতদের প্রবেশের অভিযোগ তুলেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিল্ডিংয়ে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।
রনি বলেন, ‘আমাদের কাছে দুইটি তথ্য এসেছে, যা আমরা মনে করছি মিডিয়ার জানা প্রয়োজন। প্রথমত, ভোট গ্রহণের স্থানে আমি নিজে ভোট দিয়েছি। সেখানে দেখা গেছে, ভোটাররা ওএমআর শিট নেওয়ার আগে একটি সিগনেচার দিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের কাছে তথ্য এসেছে, নির্বাচন শুরুর সময় যেসব ভোট নেওয়া হয়েছে, সেখানে ভোটারদের কাছ থেকে এই স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না নির্বাচন কমিশন বিষয়টি জানেন কিনা, তবে যদি অজান্তে হয়ে থাকে, তাহলে এটা খুবই উদ্বেগজনক। কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশন এত অসচেতন থাকতে পারেন না। সাংবাদিক হিসেবে আপনাদেরও জানা দরকার—এমন ভুল কীভাবে হতে পারে?’
দ্বিতীয় অভিযোগ প্রসঙ্গে রনি বলেন, ‘প্রার্থীরা এবং ভোটাররা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সবার কাছে পরিচয়পত্র আছে। তবে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষকদের জন্য আলাদা কার্ড দিয়েছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, কোনো কোনো ব্যক্তি কার্ড ছাড়াই কেন্দ্র এলাকায় ঘুরছে। আমরা স্পষ্ট জানি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। আমরা চাই না, কোনো রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কেউ কার্ড ছাড়া প্রবেশ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করুক। আশা করি, নির্বাচন কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’
কোনো সংগঠন এর পেছনে আছে কিনা—এমন প্রশ্নে রনি বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনকে দায়ী করছি না। তবে যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করা উচিত। আমরা তথ্য পেলে অভিযোগ জানাব।’
পূর্বের পোস্ট :