জাতীয় নির্বাচনের প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে অযথা টানাটানি করা হচ্ছে কেন—এ প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘ভাই, আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাধা দিইনি। তোমাদেরকে তোমাদের মার্কা দেবে নির্বাচন কমিশন, সেটা কমিশনের সিদ্ধান্ত।’
১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ফখরুল। অনুষ্ঠানটি আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি সংসদ।
তিনি বলেন, ‘কিছু ব্যক্তি বা দল হুমকি দিচ্ছে যে অমুক মার্কা না দিলে আমরা নির্বাচনে যাব না বা ওমুকের মার্কা থাকবে না। আমরা তো এই কথা বলিনি। তাহলে অযথা বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন।’
ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘গ্রামেগঞ্জে যেখানে যাওয়া হবে, সেখানে একটাই স্লোগান—ধান লাগাও, ধান লাগাও। এজন্য ধানের শীষকে রুখে রাখা যায় না। ধানের শীষ জিতে গেলে দেশের শত্রুরা তাদের ষড়যন্ত্রে পরাজিত হবে।’
শেখ হাসিনাকে ‘দানব’ হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘মনস্টার (দানব) শেখ হাসিনা এমনি এমনি দিল্লি পালায়নি, যেতে বাধ্য হয়েছিল। আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই করে সেই ভিত্তি তৈরি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক দিন লাফালাফি করলে গণতন্ত্র হয় না। গণতন্ত্র গড়তে হলে পরিশ্রম, ত্যাগ ও জনগণের কাছে যাওয়া দরকার। বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য মানুষের কাছে পৌঁছানো পার্টি।’
অমলাতন্ত্রকে একটি দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘এটি আমরা বরদাশত করব না। নির্বাচনের সময় সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ আমলাতন্ত্র ও সরকার থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে, কোনো দলের কাছে মাথা নত করা চলবে না।’
স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি বলেন, ‘সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে শহীদ জেহাদের লাশ রেখে আমরা স্বৈরাচার পতনের শপথ নিয়েছিলাম। পরের দিন হরতাল কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলেও আহত অবস্থায় আমরা শহীদ মিনারে গিয়ে আবার শপথ নিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারের পতনে সফল হয়েছি।’
স্মরণসভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপনসহ অন্যান্য নেতা।
পূর্বের পোস্ট :