দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফলে যে পরিবর্তনের স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা এগিয়ে নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের নিজ নিজ সক্ষমতা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।”

নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় শনিবার ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন বলে বাসস জানিয়েছে।

দেশ গঠনে সবার ভূমিকা থাকবে মন্তব্য করে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “দূরে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখব—এমন হবে না। গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ; আমরা এখন নিজে খেলব।”

নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় শনিবার ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফররত বাংলাদেশের রাজনীতিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেওয়া প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হয়েছেন তারা। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “উনারা এ সফরে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন বলে আমাদের আস্থা অনেক বেড়ে গেল।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন। এতে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ১৫ মাসে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখায় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আশিক চৌধুরী।

এ আয়োজনে ‘ব্রিজিং বর্ডারস: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডায়াস্পোরা অ্যানগেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এটি সঞ্চালনা করেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুলসহ তিনজন এতে অংশ নেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে আবেগঘন বক্তব্য দেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ‘শেপিং টুমোরো: দ্য ফিউচার অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে এনসিপি নেতা তাসনিম জারা, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির এবং জামায়াত নেতা নাকিবুর রহমান অংশ নেন।

এ আয়োজনে সরকারপ্রধান উদ্বোধন করেন ‘শুভেচ্ছা’ মোবাইল অ্যাপ, যা প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা, নির্দেশনা এবং বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের জন্য নির্মিত।