গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর আবুল কালাম আজাদ নামের এক গ্রাহক এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে ১১টি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন তিনি। তবে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে রাসেল ও শামীমা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

মামলার পর আদালত অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। পিবিআইয়ের এসআই বাসুদেব সরকার ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর ৯ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ এ রায় দেওয়া হলো।

এর আগে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল আরেক প্রতারণার মামলায় রাসেল ও শামীমাকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। তারও আগে ৬ এপ্রিল বিশ্বাসভঙ্গ প্রতারণার আরেক মামলায় তাঁদের তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি এক মামলায় দুজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইবছর ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের এক গ্রাহকের করা মামলায় তাঁদের এক বছর করে কারাদণ্ড হয়।

সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমার মোট ১২ বছরের কারাদণ্ড হলো।

তারা দুজনই পলাতক থাকায় আদালত তাদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।