জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রায় এক ঘণ্টা ভাষণ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে প্রায় পুরোটা সময় জাতিসংঘ ও ইউরোপকে শাসিয়েছেন তিনি, বলেছেন বিতর্কিত সব কথা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প শুরুতেই নিজ দেশের গুণগান করেন। বলেন, আমেরিকা ইতিহাসের স্বর্ণালি দিন পার করছে।

এরপরই জাতিসংঘের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন ট্রাম্প। নিজেকে শান্তির প্রতীক দাবি করে জানান, সাতটি সংঘর্ষ তিনি বন্ধ করেছেন। সেখানে জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা নেই।

জাতিসংঘ পারে শুধু বড় বড় বুলি আওড়াতে। সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের কোনো যোগ্যতার পরিচয় নেই। অনেক কিছু করার থাকলেও কিছুই করছে না সংস্থাটি।

নিজের প্রতি ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, জাতিসংঘের মতো সংস্থা নয়, বরং বড় নেতার হাত ধরেই বিশ্বে শান্তি আসে। এবারও তাই হচ্ছে।

ইউরোপের জ্বালানি নীতি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে ‘ভুয়া’ পর্যন্ত বলেন তিনি। যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির বিরুদ্ধে সোচ্চার পশ্চিমারা, সেখানেই এটিকে ভবিষ্যতের জ্বালানি হিসেবে দেখছেন তিনি।

আপনারা এই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে বড় বিপদে পড়বেন। অভিবাসীদের নিয়েও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য। নিজেদের ধ্বংস আপনারাই ডেকে আনছেন, বলেন ট্রাম্প।

অভিবাসীরা ইউরোপের বিশুদ্ধতা নষ্ট করছে বলে অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। খ্রিস্টধর্মের বিশুদ্ধতা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ইউরোপকে আমি ভালোবাসি। চোখের সামনে ইউরোপকে ধ্বংস হতে দেখে খারাপ লাগছে। তাদের উচিত প্রাগৈতিহাসিক ধর্মীয় বিশুদ্ধতা রক্ষা করে চলা।”

ট্রাম্পের ভাষণে ক্ষোভ উঠে আসে রাশিয়াকে নিয়েও। অভিযোগ তোলেন ইউরোপের বিরুদ্ধে। বলেন, ইউরোপের অনেক দেশ এখনো রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনছে।

রাশিয়ার সঙ্গে সবার বাণিজ্য চুক্তি ছিন্নের ওপর জোর দিলেও চীন-ভারতের সঙ্গে রুশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলেননি ট্রাম্প।