চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার পর্বে ইতি টেনেছেন। সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, ঝুপড়ি, ক্যাম্পাসের রেলস্টেশন, বিভাগ ও হলগুলো ছিল নির্বাচনী প্রচারে সরগরম।

মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ১৮ দিনের প্রচারণা সোমবার রাত ১২টায় শেষ হয়। এদিন ছিল নির্বাচনী প্রচারের শেষদিন। বিভিন্ন সংগঠন ও প্যানেলের প্রার্থীরা সাংগঠনিকভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে ক্যাম্পাসজুড়ে প্রচারণা চালান। কেউ সরাসরি প্রচারে অংশ নেন, আবার কেউ অনলাইনেও প্রচার চালান।

ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের’ প্রার্থীরা শেষদিনে বিভিন্ন অনুষদ, ঝুপড়ি, রেলস্টেশন ও শাটল ট্রেনে ব্যাপক প্রচার চালান। প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, ‘আমরা শেষদিনে ক্যাম্পাসের প্রায় সব জায়গায় একা বা প্যানেলের সবাইকে নিয়ে প্রচার চালিয়েছি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রেলস্টেশন চত্বরে “প্রজেকশন মিটিং”য়ের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রচার শেষ হবে।’

চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরাও কলা ভবন, ঝুপড়ি, বিভিন্ন হল ও অনুষদে প্রচারণা চালান। রেলস্টেশন চত্বর ও শাটল ট্রেনেও তারা জোর প্রচার করেন। জিএস প্রার্থী শাফায়াত হোসেন জানান, ‘আমরা দিনভর শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে ভোট চেয়েছি। তাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বুধবারের ভোট সুষ্ঠু হবে বলে আশা করছি, শিক্ষার্থীদের রায় আমাদের পক্ষেই আসবে।’

অন্যদিকে বাম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর যৌথ প্যানেল ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’র ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া জানান, ‘দিনভর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রচার চালানোর পাশাপাশি রাতে রেলস্টেশন চত্বরে নির্বাচনী সমাবেশ করেছি।’

ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের যৌথ প্যানেল ‘দ্রোহ পর্ষদ’-এর প্রার্থীরা পথনাটকের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন। প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রিজু লক্ষ্মী অবরোধ বলেন, ‘আমরা রেলস্টেশনে পথনাটক করেছি, পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষদের ঝুপড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোট চেয়েছি। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করি।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। প্রায় তিন যুগ পর আগামী বুধবার (১৫ অক্টোবর) আবার ভোট হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন, এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯। চাকসু নির্বাচনে ১৩টি প্যানেলের ৪১৫ জন এবং ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের নির্বাচনে মোট ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।