মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে সরকার আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি জুলাইয়ের অভ্যুত্থান–সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার রায় দেয়। এতে শেখ হাসিনা ও তার সময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ড হয়। রাজসাক্ষী হওয়া পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পান পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। রায়ের পর থেকে শেখ হাসিনা ও কামাল ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থান করছেন।
রায়ের দিনই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতির মাধ্যমে ভারতকে দোষী সাব্যস্ত দুই ব্যক্তিকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এবার এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন আইন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল— ওনাদের প্রত্যর্পণের জন্য আমরা চিঠি দিচ্ছি। যেহেতু তারা দোষী সাব্যস্ত, ভারতের এখন বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে তাদের ফেরত দেওয়ার।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতকে প্রত্যর্পণ চুক্তির বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গিয়ে কোনোভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা—সেটিও খুব দ্রুত বিবেচনা করা হবে।”
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “আপনার প্রশ্নে যে পরিমাণ আশাবাদ আছে, আমাদেরও ঠিক ততটাই আশা।”
রায়ের পর শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যু আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতের এএনআইকে বলেন, নয়াদিল্লি ঢাকার অনুরোধ গ্রহণ করবে বলে তিনি মনে করেন না।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য, বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তি এই পরিস্থিতিকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
পূর্বের পোস্ট :