বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ব্রিটিশ ল স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের’ ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যারা আইন-কানুন মেনে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়, তাদের প্রতি আহ্বান করব— কোনো রাজনৈতিক দলের অরাজনৈতিক, অবৈধ, অসাংবিধানিক কোনো আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না। আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় থাকতে হবে। সরকার সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার সরকার, সেটি প্রধান উপদেষ্টা বহুবার বলেছেন। এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই ভবিষ্যতে রাষ্ট্রকে আইনের শাসনের রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি শুধু বলি যে আইনের শাসনের রাষ্ট্র হবে, তা যথেষ্ট নয়— সেটি আমাদের প্র্যাকটিসে দেখাতে হবে। আমরা প্রস্তাব করেছি, কোনো ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এর ফলে ব্যক্তি বা দলীয় স্বৈরতান্ত্রিকতার সুযোগ থাকবে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই এসব বিলোপ করতে হবে। আইনজীবীরাই হচ্ছেন এর রক্ষক, তাই আপনাদের এই ভূমিকা পালন করতে হবে।’
‘পিআর মানে স্থায়ী অস্থিরতা’
প্রোপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমার কাছে আজ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে বলা যায়, পিআর মানে হচ্ছে স্থায়ী অস্থিরতা। নেপালের উদাহরণই তার প্রমাণ। কোথাও সরকার গঠনে এক-দেড় বছর লেগে যায়, আবার টিকেও না বেশি দিন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশে পিআর চালু করার পেছনে উদ্দেশ্য হলো কিছু আসন বেশি পাওয়া এবং দেশে স্থায়ী অস্থিতিশীলতা তৈরি করা। এতে লাভবান হবে তারা, যারা সবসময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়। আমাদের কিছু পার্শ্ববর্তী দেশ আছে, যারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি চায় না। অস্থিতিশীল পরিবেশে দুর্বল সরকারের কাছ থেকে তারা যেকোনো দাবি আদায় করতে পারে।’
সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক ওয়াসি পারভেজ তাহসিনের সভাপতিত্বে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাগিব রউফ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।