বিএনপি সব সময় স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে উল্লেখ করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের পর বিএনপি ক্ষমতায় এলে সাংবাদিকরা বর্তমানের তুলনায় আরও বেশি মুক্ত সাংবাদিকতা চর্চা করতে পারবেন।

তিনি বলেন, “বাকশালের চারটি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের ধারণা ভেঙে জিয়াউর রহমান প্রথম সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যবস্থা করে দেন। সেই ভিত্তিতেই আজকের বাংলাদেশের সাংবাদিকতা দাঁড়িয়ে আছে।”

খসরু জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে। যেকোনো সমালোচনা গ্রহণ করার মানসিকতা বিএনপির আছে।

“৫ আগস্টের পর তারেক রহমানের একটি কার্টুন আঁকা হয়। সেখানে তারেক রহমানের বক্তব্য ছিল— সাংবাদিকদের এই স্বাধীনতার জন্যই আমরা স্বৈরাচার তাড়িয়েছি। ছোট এই বক্তব্যই স্বাধীন সাংবাদিকতা নিয়ে বিএনপির অবস্থান বোঝার জন্য যথেষ্ট,” বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিটি অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা করে সাংবাদিকদের জন্য প্রশ্নোত্তরের ব্যবস্থা রাখা হয়। কারণ বিএনপি চায়, রাজনীতিবিদরা সব সময় জবাবদিহির মুখোমুখি হোক।

দেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে খসরু বলেন, “নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে। কিন্তু বিএনপি দক্ষ নাবিকের মতো সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন ভণ্ডুলের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।”

বর্তমান সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৪–১৫ মাস ধরে দেশে একটি অনির্বাচিত সরকার আছে। জনগণ ও সরকারের মধ্যে যে সেতু থাকার কথা, সেটি স্বাভাবিকভাবেই এই সরকারের ক্ষেত্রে নেই। আগের ১৪–১৫ বছর ছিল এক রকম শঙ্কা, এখন আরেক রকম।

পলিটিক্যাল রেটোরিকে বিএনপির রাজনীতি সীমাবদ্ধ নয় উল্লেখ করে খসরু বলেন, মানুষ এখন রেটোরিক শুনতে চায় না, চায় বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতি। বিএনপিও জনগণকে কোনো অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দেবে না।

বিএনপিকে নিয়ে নানা মহলে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি এতে সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে। গণতান্ত্রিক সহনশীলতাই বিএনপির রাজনীতির শিক্ষা।

“যে ভাষায় বিএনপিকে আক্রমণ করা হচ্ছে— বিএনপি জবাব দিতে গেলে সেই পর্যায়ে নামতে হবে। এত নিচে বিএনপি নামবে না,” বলেন তিনি।

জিয়াউর রহমান সম্পর্কে খসরু বলেন, তাঁর তুলনা চলে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটনের সঙ্গে। ওয়াশিংটন যেভাবে যুদ্ধ করেছেন, দেশ পরিচালনা করেছেন— তার সব গুণ জিয়াউর রহমানের মধ্যে আছে।

তিনি বলেন, “সারা বিশ্বের প্রথম চার–পাঁচজন রাজনৈতিক নেতার মধ্যে জিয়াউর রহমানের নাম থাকবে, আমি নিশ্চিত।”

আগামী দিনে বিএনপি শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্র নয়, অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মূল সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।