কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালকে ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের একমাত্র পথ হলো কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ভোট অনুষ্ঠিত করা।

তিনি বলেন, অতীতে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এই ব্যবস্থায় যদি কোনো সীমাবদ্ধতা থেকে থাকে, তা ভবিষ্যতে সংশোধন করা সম্ভব।

“সবচেয়ে বড় কথা হলো কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে ঐকমত্য আছে। নির্বাচনের আগে একটি অনির্বাচিত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট হলে মানুষ আস্থা রাখে,”—বলেন খসরু।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান কে হবেন—এ নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও আলোচনা ও সমঝোয়ার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব।

এই ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা, চরিত্র, বৈশিষ্ট্য—সবই আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা যেতে পারে,”—যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামিসহ শরিক আট ইসলামি দলের চলমান কর্মসূচি প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকবেই। এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, যেখানে সহনশীলতা অপরিহার্য।

বিএনপি যাদের মনোনয়ন দেয়নি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের মনোনয়ন দিতে চায়—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কৌশল আলাদা। এ নিয়ে বিএনপির বলার কিছু নেই। তবে সবারই উচিত রাজনৈতিক গ্রামার মেনে চলা।”

আমীর খসরু আরও বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি কাজগুলো এগিয়ে নিতে একটি নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই।

দেশের মানুষ এখন নির্বাচন চায়। তারা অধীর আগ্রহে নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে,”—বলেন তিনি।