টানা দুই দিন বড় ধরনের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। সূচক কমেছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুই বাজারেই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) হয়েছে গত দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন।

সোমবার দিনের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৪ পয়েন্ট। শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৮ পয়েন্ট এবং ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১১ পয়েন্ট।

সারাদিনে ডিএসইতে ৫৪৪ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা জুলাইয়ের ৩ তারিখের পর সর্বনিম্ন। ওই দিন ৫০৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়ে লেনদেন ছাড়ায় ১ হাজার কোটি টাকা। তবে টানা দুই সপ্তাহের পতনে তা আবার নেমে এসেছে ৫০০ কোটির ঘরে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৭ কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ৩০৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫০টির শেয়ারের দাম।

এ, বি ও জেড—সব কটি ক্যাটাগরিতেই ছিল নিম্নমুখী প্রবণতা। সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়া এ ক্যাটাগরির ২৮ কোম্পানির দর বেড়েছে, বিপরীতে দর কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির দাম।

ব্লক মার্কেটে ১৭ কোম্পানির ২০ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যা ছিল সর্বোচ্চ।

দামের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষে ছিল জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শেয়ারদর বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি। বিপরীতে বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের দর কমেছে ১০ শতাংশের বেশি, যা ছিল তলানিতে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক কমেছে। সার্বিক সূচক হারিয়েছে ১২০ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে ৩৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির দাম।

সারাদিনে সিএসইতে ২০ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ১৪ কোটি টাকা।

সিএসইতে শীর্ষে  বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক, শেয়ারদর বেড়েছে ১০ শতাংশ। তবে বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের দর ডিএসইর মতো এখানেও কমেছে ১০ শতাংশের বেশি।