সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষ হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম, বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেনও।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২২ পয়েন্ট। শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস–৩০ বেড়েছে ১১ পয়েন্ট।
সারাদিনে ৩৯৮ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৭৫টির দাম বেড়েছে, ১৫৭টির কমেছে এবং ৬৬টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। এ, বি ও জেড—তিন ক্যাটাগরিতেই বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে। সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়া এ ক্যাটাগরিতে থাকা ২২১ কোম্পানির মধ্যে ৯৫টির দাম বেড়েছে, ৮৬টির কমেছে এবং ৪০টির অপরিবর্তিত ছিল।
ব্লক মার্কেটে ৩৪ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি টাকার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে খান ব্রাদার্স।
দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়ায় ৭০৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের ৫৭৬ কোটি টাকার তুলনায় বেশি।
দামের দিক থেকে নাভানা সিএনজি লিমিটেড ছিল শীর্ষে, কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি। বিপরীতে ৭ শতাংশের বেশি দর হারিয়ে তলানিতে ছিল ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সামগ্রিক সূচক বেড়েছে ৬৫ পয়েন্ট। সেখানে ২১২ কোম্পানির মধ্যে ১২৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ২১টির অপরিবর্তিত ছিল।
সারাদিনে সিএসইতে লেনদেন হয় ২১ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট, যা আগের দিনের ১০ কোটি টাকার দ্বিগুণের বেশি।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও নাভানা সিএনজি লিমিটেড শীর্ষে উঠে এসেছে ১০ শতাংশ দরবৃদ্ধি নিয়ে। আর ১০ শতাংশ দরপতনে তলানিতে ছিল ম্যাকসনস স্পিনিং মিলস পিএলসি।