ঢাকা, মঙ্গলবার: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দলটি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় গেলে দেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হবে—“সবার আগে বাংলাদেশ”। তিনি বলেন, এ নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশে সরকারের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখাই হবে কূটনীতির মূল লক্ষ্য।

বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে—যার দ্বিতীয় পর্ব মঙ্গলবার প্রকাশ হয়েছে—তারেক রহমান বলেন, বর্তমানে দিল্লির সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের শীতলতা রয়েছে; এর পেছনে যদি দায় সরকারের প্রতি থাকে না, তারা সেটা দেখাতে চাইছেন যেন “দেশের মানুষের সিদ্ধান্ত” হিসেবে প্রোথিত হয়। তিনি বলেন, “এটা বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সাথে শীতল থাকবে। সো, আমাকে আমার দেশের মানুষের সাথে থাকতে হবে।”

বিবিসি বাংলা প্রশ্ন করেছিল, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে পদক্ষেপ নেবে কি না। জবাবে তারেক রহমান বলেন, “এখন তারা যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই।” তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেন, প্রথমে তার দেশের স্বার্থ বিবেচনা করবেন।

সাক্ষাৎকারে ঢাকায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক নদীর পানির হিস্যা ও সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়েও তারেকের কথা উঠে এসেছে। পানির হিস্যার প্রশ্নে তিনি পুরোপুরি স্পষ্ট ছিলেন—“অবশ্যই, আমি আমার পানির হিস্যা চাই… আমার যেটা ন্যায্য, সেটা আমি চাই।” একই সঙ্গে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডসহ জনগণের উপরে আঘাত সহ্য করা হবে না—এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করে বিএনপি আওয়াজ তুলবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, লন্ডনে নির্বাসনে থাকেন—বিগত দেড় যুগে প্রথম বারের মতো তারেক রহমান এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব গতকাল প্রকাশিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, বিএনপির ভবিষ্যৎ কৌশল ও কূটনৈতিক নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার ভাবনা এই দুই পর্বে প্রকাশ পেয়েছে।