আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী ভোটারদের প্রভাবিত করতে মাঠে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে না পড়তে বিএনপিও নারী ভোটারদের লক্ষ্য করে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

দলটির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বিএনপি সরাসরি নয়, বরং তাদের সহযোগী সংগঠন ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’-এর মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু করবে। ফোরামটি ২০১৯ সালের আগস্টে আত্মপ্রকাশ করে। এর আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং সদস্যসচিব ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী।

ফোরামের নেতারা জানিয়েছেন, কর্মসূচিগুলো হবে মূলত ঘরোয়া বৈঠক। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান বিএনপি–সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের একত্র করে নির্বাচনকেন্দ্রিক নির্দেশনা দেওয়া হবে। আলোচনায় বিএনপির ভবিষ্যৎ ভাবনা, নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন এবং বিশেষ করে নারী ভোটারদের সচেতন করার বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।

আগামী ১৪ অক্টোবর খুলনা বিভাগ দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে। প্রথম দিন খুলনা জেলা ও মহানগর, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় বিএনপি–সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ অক্টোবর যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও নড়াইলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কর্মসূচি হবে। এরপর ১৬ অক্টোবর কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এসব অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতৃত্ব অংশ নেবেন।

ফোরামের আহ্বায়ক সেলিমা রহমান বলেন, ‘নারী ভোটারদের কাছে বিএনপির ভাবনা তুলে ধরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা তাঁদের অধিকার, সুরক্ষা ও সচেতনতার বিষয়ে কাজ করছি। নির্বাচনে নারীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

সদস্যসচিব নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই নারী ভোটাররা বুঝুক, বিএনপি কেমন বাংলাদেশ গড়তে চায়। আমাদের কর্মসূচি সেই বার্তাই পৌঁছে দেবে।’

বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, মাঠপর্যায় থেকে তথ্য এসেছে যে জামায়াত ইতোমধ্যে নারী কর্মীদের সক্রিয় করেছে। এতে বিএনপির মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামকে নারী ভোটারদের সংগঠিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।