২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিকে তৃণমূল থেকে নতুনভাবে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি আর তরুণদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বিএনপি আবারও ভোটারদের আস্থা ফিরে পেতে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান জানান, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে ইতিমধ্যে সাত হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পদাবনতি থেকে বহিষ্কার পর্যন্ত নানা শাস্তি রয়েছে।
এটা সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না, তবে জরুরি। শৃঙ্খলা দুর্বলতা নয়—এটাই আমাদের শক্তি। নিজেদের সদস্যদের জবাবদিহির আওতায় এনে আমরা জাতিকে দেখাচ্ছি যে সততার ব্যাপারে আমরা সত্যিই কঠোর, আর আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছে যে মানদণ্ড দাবি করি, নিজেদের ক্ষেত্রেও সেই মানদণ্ড মেনে চলব, লিখেছেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপিকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। দলের ৩১ দফা ভিত্তিক নীতিমালায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু সহনশীলতা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
তিনি অন্তর্ভুক্তির ওপরও জোর দেন; বলেন, আরও বেশি নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের দলে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে বিএনপিকে সেবামূলক, ন্যায়সঙ্গত ও দক্ষ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তারেক বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছিলেন। আর বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরশাসনের মুখে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছিলেন। আজকের বিএনপি সেই পথকে ধরে রেখে নতুন যুগের চাহিদার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিচ্ছে, যেখানে সততা, তরুণ নেতৃত্ব আর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা দেশ গড়ার মূল চালিকা শক্তি।
বিএনপি আবারও শৃঙ্খলাপরায়ণ, ভবিষ্যতমুখী ও আধুনিক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে, উল্লেখ করেন তারেক রহমান।
তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান—একতাবদ্ধ থাকতে, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে এবং জনসেবার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে।