ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের একাধিক সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক থাকায় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।

যাদের এনআইডি লক আছে তারা কেউই প্রবাসে বসে ভোট দিতে পারবেন না, বলেন আখতার।

আখতার আহমেদ বলেন, প্রবাসে বসে ভোট দিতে হলে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে এনআইডি নম্বর দিয়ে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট নয়, এনআইডি বাধ্যতামূলক হবে। যার এনআইডি লক থাকবে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না। যারা এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করবেন, তারাই কেবল ভোটদানের সুযোগ পাবেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে ইন-কান্ট্রি ও আউট-অফ-কান্ট্রি ভোট হবে। যারা প্রবাসে আছেন, তারা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন। এ জন্য সিস্টেম ডেভেলপ করা হচ্ছে, বলেন আখতার।

এপ্রিলে ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীরের নির্দেশনায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দশ সদস্যের এনআইডি লক করা হয়।

তালিকায় রয়েছেন শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক—এরা সবাই হাসিনা পরিবারের সদস্য।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, এনআইডি লকের অর্থ হলো এর তথ্য যাচাই, সংশোধন বা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। লক করা এনআইডি কার্যত আর ব্যবহার করা যায় না।

তবে নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এনআইডি লক মানে নাগরিকত্ব বা ভোটাধিকার হারানো নয়। এনআইডি লক হলেও ভোটার তালিকায় নাম থাকে। শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না, তাই তার ভোটদানের সুযোগ থাকবে না। দেশে থাকলে তিনি লকড এনআইডি দিয়েও ভোট দিতে পারতেন।