সৌদি আরব, কানাডা ও চীন থেকে এক হাজার ৮৪৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার।
মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি, ৪০ হাজার টন এমওপি এবং ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় চতুর্থ লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই সার আনতে ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৭৬৮.৭৫ মার্কিন ডলার।
একইভাবে পঞ্চম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই সার আনতে ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৭৬৮.৭৫ মার্কিন ডলার।
ষষ্ঠ লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চীন থেকে এই সার আনতে ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৭৬৮.৭৫ মার্কিন ডলার।
দশম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সৌদি আরব থেকে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের সারের দাম পড়বে ৭৮৪.০০ মার্কিন ডলার।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সাবিক কৃষি-পুষ্টি কোম্পানি থেকে তৃতীয় লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১৫৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৪৩৫.০০ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডিয়ান কমার্সিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৮ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। কানাডা থেকে এই সার আনতে ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।
পূর্বের পোস্ট :