বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্যদিকে, ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এনগোজি ওকনজো-ইওয়ালা সংস্থার সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্ব কামনা করেছেন বলে সরকারপ্রধানের প্রেস অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডব্লিউটিও মহাপরিচালক।
বৈঠকে এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য সহায়ক ও অর্থবহ ফলাফল নিশ্চিত করতে আগামী মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এনগোজি ওকনজো-ইওয়ালার সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন ইউনূস। তিনি বিশেষভাবে বলেন, উন্নত বাজারে বাণিজ্য ছাড় বা পছন্দসই প্রবেশাধিকার প্রত্যাহারের সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশগুলোকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এ সময় ডব্লিউটিও মহাপরিচালক তার পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
২০২৬ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় নির্ধারিত রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ডব্লিউটিও সংস্কার, বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ, ক্রমবর্ধমান সংরক্ষণবাদ এবং বিশ্বায়ন থেকে পশ্চাদপসরণের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়।
ওকনজো-ইওয়ালা বলেন, নানা উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও বৈশ্বিক বাণিজ্য এখনও টেকসই এবং বর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ শতাংশই ডব্লিউটিওর নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টাও সংস্কারের আহ্বানের সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশে কার্যকরভাবে নেতৃত্ব দিতে ডব্লিউটিওকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘এখন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সময় এসেছে। অর্থবহ পরিবর্তনের সমর্থনে বাংলাদেশ তার কণ্ঠস্বর আরও উঁচুতে তুলতে প্রস্তুত।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও সড়ক, পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।