ক্রয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আগামী সরকারে মন্ত্রী হওয়ার কোনো ইচ্ছা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন জানান, মন্ত্রী হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই তার।

মন্ত্রী হওয়ার আগে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন এই অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।

ওরা এখনো আমার জন্য রুমটি বরাদ্দ রেখেছে। এখনো ড্রাইভার জানায়, স্যার ডাকলেই চলে আসবো। আমারও ইচ্ছা উপদেষ্টার দায়িত্ব শেষে শিক্ষকতা পেশায় ফিরে যাওয়া,” তিনি বলেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে উঠে আসে উপদেষ্টা হয়ে নিজের এলাকায় বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ। সালেহউদ্দিন জানান, এসব প্রকল্প অনেক আগের। তার নিজের থেকে কিছু নেওয়া হয়নি।

অর্থ পাচার প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন জানান, সরকার আইনি মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে কিছু অর্থ ফেরত আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

১১-১২টি কেস আমরা একেবারে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখছি। আর বাকি কেসগুলোর মধ্যে যেগুলো ২০০ কোটি টাকার বেশি, তাদেরও ধরা হচ্ছে,” বলেন সালেহউদ্দিন।

ইতিমধ্যে কিছু সম্পদ জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কোথায় তাদের টাকা আছে, কোথায় হিসাব আছে, কোন কোন দেশে তাদের পাসপোর্ট আছে, সেই তথ্যও আছে। এখন বাকি কাজ করতে যতটুকু সময় লাগে।”

আগামী সরকারও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন সালেহউদ্দিন।