নাটক ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা আবুল হায়াত প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেও ভেঙে না গিয়ে ইতিবাচক থাকার এবং চিকিৎসা করানোর গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
এ কথা তিনি বলেছেন শনিবার ঢাকার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ‘রবিপথ থেকে অগ্নিপথ: প্রোস্টেট ক্যান্সার জয়ের গল্প’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী ও দেশীয় বিশিষ্টজনরা প্রোস্টেট ক্যান্সার সচেতনতার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
আবুল হায়াত বলেন, প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি কিছুটা ভয় পেওয়েছিলেন, তবে ধীরে ধীরে সেটি কাটিয়ে উঠেছেন। চিকিৎসক, পরিবারের সদস্য ও সেবাদাতারা তাকে সহায়তা করেছেন। তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ বলেছেন চেষ্টা করতে, তিনি পাশে থাকবেন। সে হিসেবে আমি চেষ্টা করছি। রোগ আসবে, তবে ইতিবাচক থাকতে হবে। এই চিন্তা থেকে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি, চিকিৎসা নিয়েছি। চিকিৎসক, ‘কেয়ার গিভার’ ও পরিবার আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন।”
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক নাসরিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেছেন, প্রোস্টেট ক্যান্সার আগে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার সুফল বেশি পাওয়া যায়। তাই একটি কার্যকর ‘স্ক্রিনিং’ কর্মসূচি চালু করা জরুরি। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. অসীম সেনগুপ্ত বলেন, স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে রোগের প্রাথমিক ধাপ শনাক্ত করা সম্ভব এবং চিকিৎসার বিকল্প ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো যায়।
অভিনেতা আফজাল হোসেন বলেন, ক্যান্সারের চেয়ে ভয়ঙ্কর হলো পাশের মানুষের থেকে বিচ্ছিন্নতা। মানুষকে সময় দিয়ে পাশে থাকা এবং সম্পর্ককে অনুভব করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সেন্টার ফর ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন (সিসিসিএফ), সাধারণ সম্পাদক রোকসানা আফরোজের সভাপতিত্বে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আফজাল হোসেন, জুয়েল আইচ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবু জামিল ফয়সাল ও ডা. অসীম সেনগুপ্ত।
সভায় বিশেষভাবে জানানো হয়, প্রোস্টেট ক্যান্সার সচেতনতার মাসে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সময়মতো স্ক্রিনিং করার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।