ইপিজেডের প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের আটটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। শনিবার সকাল ৯টার দিকে কারখানাগুলোর সামনে তারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
পরে পুলিশ ও চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (সিইপিজেড) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ শেষে শ্রমিকরা সরে যান।
সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান জানান, প্যাসিফিকের বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যা অনেক শ্রমিক জানতেন না। সকালে তারা কাজে যোগ দিতে এসে খুলে দেওয়ার দাবি জানান। পরে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বলেন, সকাল থেকে সাত-আটশ শ্রমিক বিক্ষোভে অংশ নেন। পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তারা চলে যান।
শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে বৃহস্পতিবার রাতে প্যাসিফিক গ্রুপের আটটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—প্যাসিফিক জিন্স–১, প্যাসিফিক জিন্স–২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস, ইউনিভারসেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন ও জিন্স ২০০০।
এর আগে ৯ ও ১৪ অক্টোবর শ্রমিকরা পুলিশের ‘হয়রানির’ অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন। ১৫ অক্টোবরও বিক্ষোভ হয়, তবে কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার সব কারখানায় বিক্ষোভের সময় কয়েকজন কর্মকর্তাকে ‘মারধরের’ অভিযোগ উঠে।
প্যাসিফিক গ্রুপের এক কর্মকর্তা জানান, কয়েকদিন ধরেই শ্রমিকদের আন্দোলন চলছিল। বৃহস্পতিবার তা তীব্র আকার নেয় এবং কিছু কর্মকর্তা হামলার শিকার হন।
কারখানা বন্ধের নোটিসে বলা হয়, শ্রমিকরা ১৪ অক্টোবর থেকে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও ভাঙচুর চালায়। এ ধরনের আচরণ বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘট হিসেবে গণ্য।
এ অবস্থায় কারখানার কার্যক্রম চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে।
এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২২ দফা দাবিতে প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল লিমিটেডের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে দুই ইউনিট বন্ধ ঘোষণা করা হয়, তবে শ্রমিকরা মুচলেকা দিয়ে কাজে ফেরেন।
পূর্বের পোস্ট :