জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের দাবিতে ‘জুলাই সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেওয়া ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
দুপুরে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ মঞ্চে এসে তাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় সংশোধনী আনার ঘোষণা দেন।
এরপরও বিক্ষোভকারীরা স্থান না ছাড়লে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ও লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করা হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীরা এ সময় সংসদ ভবনের বাইরে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে এবং টায়ার ও কাঠ জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় তারা খামারবাড়ি মোড় ও আসাদগেটের দিকে সরে যান।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর উপস্থিতিতে ‘জুলাই সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা বিকেল ৪টায়। তার প্রায় তিন ঘণ্টা আগে অনুষ্ঠানের মঞ্চ ঘিরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হয়েছে। এতে আহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও আইনগত সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তবে অনুষ্ঠানকে ঘিরে কয়েকটি রাজনৈতিক দল আগেই সনদে সই না করার ঘোষণা দিয়েছিল। ইতিহাস ‘সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি’ এবং সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের আপত্তি জানিয়ে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও জাসদ অনুষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়ায়।
এদিকে জুলাই শহীদদের পরিবার ও আহত যোদ্ধারা বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করে। শুক্রবার সকালে তারা প্রবেশদ্বার টপকে দক্ষিণ প্লাজায় ঢুকে পড়েন এবং অতিথিদের জন্য রাখা চেয়ারে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বেলা ২টার দিকে পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে। সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, থেমে থেমে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়।
পূর্বের পোস্ট :