আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি জোরেশোরে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী বছর রমজানের আগে নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি দরকার, আমরা তা নিচ্ছি।’

নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, সব খেলোয়াড় যদি ফাউল করার নিয়তে মাঠে নামে, তাহলে রেফারির (ইসি) পক্ষে ম্যাচ পণ্ড হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকেও দায়িত্বশীল হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক নেতা নির্বাচনে অনিয়ম করার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। বরং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সব দলের ঐকমত্য হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘সর্বশক্তি নিয়োগ করব। মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, এক লক্ষ সেনা মাঠে থাকবে।

শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা প্রতীক চাওয়ার বিষয়ে সিইসি বলেন, নাগরিক ঐক্যও একই প্রতীক চেয়েছিল, তাদেরও দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সচিব ব্রিফ করেছেন।

প্রতীক না পেলে নির্বাচন সম্ভব নয়—এনসিপির এমন মন্তব্যে সিইসি বলেন, ‘এটা কোনো হুমকি নয়। ওনারা দেশদ্রোহী নন, দেশপ্রেমিক। দেশের মঙ্গলেই কাজ করবেন।’

জাতীয় পার্টি নিয়ে বিভ্রান্তি

নির্বাচন কমিশনের সংলাপে জাতীয় পার্টি থাকবে কি না, এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির পাঁচটা পেয়েছি আমি, আপনারা কটা পেয়েছেন জানি না। অন্তত অর্ধডজন দাবি করছে, এমনকি লাঙ্গলের প্রতীকের দাবিদারও একাধিক। তাই আমি একটু কনফিউজড হই।’