জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে দেশের তিনটি রাজনৈতিক দলের চারজন রাজনীতিবিদও যাবেন তার সঙ্গে।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। 

চার রাজনীতিবিদ হলেন— বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও দলটির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু আমরা একটা পর্যায়ের দিকে যাচ্ছি, রাজনীতিবিদদের কাছেই দেশ পরিচালনার ভার হস্তান্তর করা হবে, কাজেই সেই হিসেবে আমরা তাদের প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত করছি।

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখবেন।

তিনি তার বক্তব্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে বিগত এক বছরে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সংস্কার এবং আগামী দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

উপদেষ্টা জানান, সরকারের বর্তমানে অন্যতম অগ্রাধিকার হলো জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা এবং সুষ্ঠুভাবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। এ প্রেক্ষাপটে এবারের অধিবেশনে আমাদের কাছে একটি সুযোগ থাকবে বিশ্ব দরবারে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে পরিচালিত চলমান সংস্কার কার্যক্রম এবং গণতন্ত্রের অভিমুখে আমাদের যাত্রাকে উপস্থাপন করার।

নিউইয়র্ক সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিবের স্বাগত অভ্যর্থনা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভ্যর্থনাসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এ সময়ে অনেক বৈঠকের সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তেও হয়ে যায়। সে বিবেচনায় নতুন বৈঠক তালিকায় যোগ হতে পারে। আবার সময়ের অভাবে কোনো বৈঠক বাদও যেতে পারে।