বিএনপির নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজিতে মানুষ ‘অতিষ্ঠ’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এনসিপির দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘সমন্বয় সভায়’ তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত বলেন, ‘বিএনপির মাফিয়া তন্ত্রের রাজনীতি, চাঁদাবাজির রাজনীতিতে মানুষ এলাকায় এলাকায় অতিষ্ঠ; “মামলা-বাণিজ্য” দিয়ে একেবারে ভরে ফেলছে। কোরামবাজি, গ্রুপিং—মানুষ এখন আতঙ্কে আছে তারা ভোট দিতে যাবে কিনা, সেটা নিয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেজন্য আমরা বিএনপির যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশপন্থায় বিশ্বাস করেন, যারা চব্বিশ-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নিতে চান, আমরা তাদের এনসিপিতে স্বাগত জানাচ্ছি।’

এনসিপি সংসদে নেতৃত্ব ভাগাভাগি করে নির্বাচনব্যবস্থাকে কলুষিত করবে না উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘কে জিতবে, কে হারবে, সেটি মুখ্য নয়। আমরা চাই জনগণের ভোট নির্বাচনে যেন জিতে যায়। নির্বাচন ব্যবস্থাকে জেতাতে হবে। আমি সমঝোতা করে, পার্লামেন্ট নেতৃত্ব ভাগাভাগি করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করব—এরকম খন্দকার মোশতাক আমরা হইতে আসি নাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা লড়ব, স্বচ্ছ লড়াই করব। প্রয়োজনে হারব, কিন্তু মাঠ ছাড়ব না। আমাদের সংসদ হচ্ছে রাজপথ, শক্তি হচ্ছে জনগণ, আর রাজনৈতিক সততাই আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। আমরা “ব্যাকডোর” দিয়ে কোনো সমঝোতায় বিশ্বাস করি না।’

‘যারা আসন পুনর্বণ্টন নিয়ে ব্যাকডোরে আলাপ-আলোচনা করছেন, তাদের পেইড কিছু সাংবাদিক আছে, তারা নিউজ করাচ্ছে,’—অভিযোগ করে হাসনাত বলেন, ‘আমাদের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, এই মিডিয়া মাফিয়া মতিউর রহমান—ওনাকে বলেছেন, তিনি যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে রাজনীতি করবেন; আর যদি সাংবাদিকতা করতে চান, তাহলে সাংবাদিকতা করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি সাংবাদিকতার পেশা নিয়ে রাজনীতি করবেন, রাজনৈতিক মন্তব্য দেবেন, আর রাজনৈতিক দলের চরিত্র হনন করবেন—এটা হতে পারে না।’

হাসনাত জানান, এনসিপি কোনো জোটে বিশ্বাসী নয়। তবে সংস্কারের প্রশ্নে যদি কেউ যোগ দিতে চায়, দলটি তাকে স্বাগত জানাবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সুজা উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসান আলী, উত্তর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী সাগুপ্তা বুশরা মিশমা ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জুবাইরুল হাসান আরিফ।