টানা পতনে পর্যুদুস্ত পুঁজিবাজার; সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮০ পয়েন্ট।
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসই'র প্রধান সূচক নেমেছে ৫১১৬ পয়েন্টে, যা মঙ্গলবার ছিল ৫১৯৭ পয়েন্ট। ৫৪১৫ সূচক নিয়ে অক্টোবর মাস শুরু হলেও ১৫ দিনে মোট সূচক কমেছে ২৯৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২০ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস৩০ কমেছে ২৮ পয়েন্ট। একদিনের ব্যবধানে দুই সূচক কমেছে যথাক্রমে ১.৮২ শতাংশ এবং ১.৪৩ শতাংশ।
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির দাম তলানিতে; মাত্র ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩২৮ কোম্পানির এবং দর হারিয়েছে ৩৫ কোম্পানির।
এ, বি, জেড- তিন ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে মাত্র ২২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে ১৬ কোম্পানির ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
অক্টোবরে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে। সারাদিনে ৪৮৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৬০৬ কোটি টাকা।
সাড়ে ৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে পিপলস ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ১২ শতাংশের ওপরে দর হারিয়ে তলানিতে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি।
বড় পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই); সার্বিক সূচক কমেছে ১৬৮ পয়েন্ট। একদিনে সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ১.১৪ শতাংশ।
লেনদেন হওয়া ১৮৫ কোম্পানির মধ্যে ৩০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন কমেছে সিএসইতে। সারাদিনে ১৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা গতদিন ছিল ১৫ কোটি টাকা।
৯ শতাংশের ওপরে দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপরে দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি।
পূর্বের পোস্ট :