সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে চারদিনই পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে; বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারে সূচকের পতনের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ১৪ এবং ব্লুচিপ সূচক ডিএস৩০ কমেছে ১৮ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম নিম্নমুখী; ৭২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৯২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এ, বি, জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ৪৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৪ কোম্পানির।

ব্লক মার্কেটে ২১ কোম্পানির ১২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। ফাইন ফুডস লিমিটেড সর্বোচ্চ ৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

লেনদেন কমেছে ডিএসইতে; সারাদিকে ৫৩০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা গতদিন ছিল ৬১১ কোটি টাকা।

৯ শতাংশের ওপর দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেড এবং ১০ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড।

পতনের ধারা অব্যাহত আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই); সার্বিক সূচক কমেছে ৯৮ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ২১৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৭, কমেছে ১৩৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে সারাদিনে ২২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৮ কোটি টাকা। সূচকের পতন হতে থাকলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির ঝোঁক বেড়ে যায়। এতে করে লেনদেন বাড়লেও ফলাফল নেতিবাচক।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১১ শতাংশের ওপর দর কমে তলানিতে এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস লিমিটেড।