বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন মঙ্গলবার বললেন, খুচরা বা মাঝারি দোকানে অভিযান চালালে বাজার নিয়ন্ত্রণে তেমন ফল পাওয়া যায় না। তিনি জানান, বাজারে অস্থিরতা তৈরির জন্য যারা মূলত দায়ী তারা প্রায়ই দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্য তেল ডেলিভারি অর্ডার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “আমাদের কাজ ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা। ব্যবসা-বাণিজ্যকে সংকুচিত করা নয়।”
উপদেষ্টা বশির উদ্দিন আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের প্রধান দায়িত্ব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করা। “আমরা নিজেরাই ভোক্তা। তাই মন্ত্রণালয় ভোক্তাদের কল্যাণে কাজ করবে।”
তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, “বাজার স্থিতিশীল করতে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। প্রয়োজন হলে দিকনির্দেশনা দিন।”
ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। “যেই হোক, আমরা বাজারে বিশৃঙ্খলা রোধে পিছপা হব না।”
উপদেষ্টা বশির উদ্দিন বলেন, খুচরা বা মাঝারি দোকানে অভিযান দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। “সম্পূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খল—প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক, ডিও ব্যবসায়ী, পাইকারী ও খুচরা—সবকেই নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। মিল মালিক বা ডিও ব্যবসায়ী, অথবা উভয়েই বাজার অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “ছোট দোকানদার যদি তার কাউন্টারের নিচে ৫০০ বোতল তেল লুকায়, তাহলে বাজারের বিশৃঙ্খলার দায় তার ওপর চাপানো অন্যায়। টেলিভিশনে অভিযান দেখানো হয়, মানুষ খুশি হয়, কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হয় না। মূল দোষীরা অবাধে থাকে।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার এটা নিশ্চিত করবে যাতে কেউ ভোজ্য তেল বাজারকে অস্থিতিশীল করতে না পারে। “আসল অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।“
সভায় ডিও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, মিল মালিকদের থেকে সময়মতো পণ্য পাচ্ছেন না। তারা মন্ত্রণালয়কে দ্রুত সমাধান করার আহ্বান জানান।
পূর্বের পোস্ট :