প্রকৃতিতে এখন হেমন্তের সরব উপস্থিতি। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে বাতাসে বেড়েছে শুষ্কতা, আর্দ্রতা কমেছে। এর প্রভাব পড়ছে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেও। ফলে অনেকেরই এখন ঠোঁট ফাটা বা শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীত পুরোপুরি না এলেও এই সময় থেকেই ঠোঁটের নিয়মিত যত্ন নেওয়া জরুরি।

যাদের ঠোঁট ইতোমধ্যে ফেটে যাচ্ছে বা শুষ্ক হয়ে পড়েছে, তারা কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে স্বস্তি পেতে পারেন।

ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁটের যত্ন

অলিভ অয়েল ও চিনির স্ক্রাব:

এক চা চামচ অলিভ অয়েল, এক চা চামচ চিনি এবং আধা চা চামচ বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ঠোঁটে লাগিয়ে শুকাতে দিন। এরপর ভেজা হাতে হালকা করে ঘষে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে এক–দুবার এই স্ক্রাব ব্যবহার করলে ঠোঁট থাকবে মসৃণ।

নারকেল তেল বা ভিটামিন ই তেল:

রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁট পরিষ্কার করে নারকেল তেল বা ভিটামিন ই অয়েল লাগিয়ে ঘুমান। সকালে উঠে তা ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক।

বিটরুট ও গোলাপের ভ্যাসলিন:

বিটরুটের রস ও গোলাপপাপড়ি একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। ঠান্ডা হলে ভ্যাসলিনের সঙ্গে মিশিয়ে সংরক্ষণ করুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁট থাকবে নরম, কোমল ও প্রাকৃতিকভাবে লালচে আভাযুক্ত।

দৈনন্দিন যত্নে করণীয়

নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং:

ঠোঁটকে নরম রাখতে প্রতিদিন ভালো মানের ভ্যাসলিন বা লিপজেল ব্যবহার করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান:

শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এতে ঠোঁটও শুষ্ক হবে না।

ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন:

ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস ঠোঁটের রঙ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা:

বাইরে বের হওয়ার আগে এসপিএফযুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ঠোঁট সুরক্ষিত থাকবে।

সঠিক যত্ন ও সচেতনতা অবলম্বন করলে হেমন্ত থেকে শীতকাল জুড়েই ঠোঁট থাকবে নরম, সজীব ও আকর্ষণীয়।