এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম তাঁর, ১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর। কম বয়সে বাবা-মাকে হারানোর যন্ত্রণা ও জীবনের সংগ্রাম তাঁকে করেছে লড়াকু ও অদম্য। থিয়েটার ও টেলিভিশন দিয়েই শুরু তাঁর অভিনয়যাত্রা। ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেকের পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
এর পর থেকে শাহরুখ খান অভিনয় করেছেন ৮০টিরও বেশি ছবিতে। প্রতিটি চরিত্রেই যেন তিনি হাজির হয়েছেন নতুন এক রূপে। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতে তিনি হয়ে ওঠেন রোমান্টিক নায়কের প্রতীক—যে সিনেমাটি আজও মুম্বাইয়ের একটি প্রেক্ষাগৃহে নিয়মিত প্রদর্শিত হয়। ‘চাক দে! ইন্ডিয়া’ ছবিতে তিনি ছিলেন এক লাঞ্ছিত হকি কোচ, যিনি দেশের গৌরব ফেরানোর লড়াইয়ে নিজেকে পুনরুদ্ধার করেন।
শাহরুখ খানের আবেদন সময়, প্ল্যাটফর্ম ও প্রজন্মের সীমা অতিক্রম করেছে। বুমার, মিলেনিয়াল থেকে জেনারেশন জেড—সবার কাছেই তিনি সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তাঁর সিনেমার গান, অঙ্গভঙ্গি ও চোখের অভিব্যক্তি মিম, ম্যাশআপ ও টিকটকের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে বারবার নতুন করে ফিরে আসছে। তাঁর অসাধারণ ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা ও সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তাঁর জনপ্রিয়তাকে করেছে আরও মজবুত।
ট্রেন্ড আসে, ট্রেন্ড যায়—কিন্তু শাহরুখ খানের জনপ্রিয়তা সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে আজও অবিকল অটুট। ষাট বছর পূর্ণ করেও তিনি আজও তরুণ, প্রাণবন্ত ও প্রাসঙ্গিক। তিনি শুধু একজন তারকাই নন—একটি প্রতিষ্ঠান, একটি অনুভূতি।
আজ তাঁর জন্মদিন ঘিরে প্রতিবারের মতো ভক্তদের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। অপেক্ষা কিং খানের আগামী দিনের চমকের।
পূর্বের পোস্ট :