নিজ বাসায় ফেরার পথে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে; মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রী তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাভার থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন একই এলাকার সোহেল রোজারিও (৩৭), বিপ্লব রোজারিও (৪০) ও মিঠু বিশ্বাস (৩৫)। তাদের মধ্যে সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিপ্লব ও মিঠুর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী সাভারে এক ছাত্রকে টিউশন পড়ানোর পর বাসায় ফেরেন। এসে দেখেন বাসা তালাবদ্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার মা বাসায় তালা দিয়ে পাশের এক চা-দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। পরে তিনি দোকান থেকে চাবি নিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন।
ফেরার পথে একই এলাকার সোহেল রোজারিও তাকে উত্যক্ত করতে থাকেন। কিছুদূর যাওয়ার পর সোহেলের সঙ্গে অন্য যোগ দেন বাকি দুই আসামি। উত্যক্তের এক পর্যায়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে পাশ্ববর্তী গোয়ালপাড়ার এক পরিত্যক্ত টিনশেড বাড়িতে নিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন সোহেল, সহযোগিতা করেন অন্য দুই আসামি।
ধর্ষণের পর এ কথা জানাজানি হলে ভুক্তভোগীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন প্রধান আসামী সোহেল।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, লজ্জা ও সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন তারা। পরে স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় থানায় মামলা করেন মেয়েটি।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসায় জড়িত। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাভার মডেল থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।’
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামীকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি সাভার থানা পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আ. ওয়াহাব গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার ভুক্তভোগী ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চলছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে ধর্ষণের প্রতিবাদে শনিবার ভুক্তভোগীর সহপাঠী বিইউপির শিক্ষার্থীরা মিরপুর-১২ এবং মিরপুর-১০ নাম্বার সড়ক অবরোধ করেন। আসামী গ্রেফতারে তারা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছেন। রবিবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
পূর্বের পোস্ট :