চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে তেমন কোনো হুমকি দেখছে না র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। সংস্থাটি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো আশঙ্কা নেই; শুধু বাইরে থেকে কেউ ইন্ধন না দিলে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কোনো হুমকি নেই। শুধু বাইরে থেকে ইন্ধন না এলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা যাবে।’

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর আগে তাঁর নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আজ প্রক্টর মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, একটি সমন্বয় সভা করেছি এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্যারের সাথেও বৈঠক করেছি। সেখানে তাঁদের নির্বাচনী পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত হয়েছি।’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, এপিবিএন এবং র‍্যাবের অন্তত আটটি টহল দল মাঠে থাকবে। অতিরিক্ত রিজার্ভ ফোর্সও প্রস্তুত থাকবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও কাজ করবেন। প্রক্টর অফিস ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।’

বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর বলেন, ‘আমরা আশা করছি, নির্বাচনটি খুব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’

নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত এক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বড় কোনো পরিকল্পিত হুমকি আসে না। ছোট কোনো বিষয় থেকেই বড় ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বাইরে থেকে কেউ যেন এমন উসকানি দিতে না পারে, সেদিকেই আমরা বেশি সতর্ক থাকব। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই।’

সাড়ে তিন দশক পর বুধবার সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাকসু নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৫১৬ শিক্ষার্থী তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন, যাঁদের মধ্যে ছাত্রী ভোটার প্রায় ১১ হাজার ৩২৯ জন।

নির্বাচন উপলক্ষে এরইমধ্যে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট বাক্স পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সংবাদকর্মীদের ভোটসংক্রান্ত খবর সংগ্রহের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ও যানবাহনের পাস প্রদানসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।