কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও আড়াই বছরের কন্যার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলয়মান শেখ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

নিহতরা হলেন—গ্রামের সৌদি প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৫) এবং তার আড়াই বছরের মেয়ে লামিয়া।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, কিছুদিন ধরে রহিদুল তার স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজখবর নিচ্ছিলেন না। এতে রেশমা আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে রেশমাকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন, তিনি সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছেন। ঘরে তখন শিশুটির নিস্তেজ দেহও পড়ে ছিল।

ওসি সোলয়মান শেখ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রবাসে থাকা স্বামী দীর্ঘদিন স্ত্রী ও শিশুকন্যার কোনো খোঁজখবর রাখেননি এবং খরচাপাতিও পাঠাননি। এতে আর্থিক সংকট ও পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।

মনে হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনাটি তদন্তাধীন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।”

ওসি আরও জানান, শুক্রবার দুপুরে মা ও শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।