জাপানে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশে থেকে দালালের পেছনে ঘুরে যেতে হবে না। জাপানি ভাষা জানলেই সেখানে বেতন-ভাতাসহ চাকরি পাওয়া সম্ভব। শ্রমিকরা বাংলাদেশি মুদ্রায় মাসে ১ লাখ ৩৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

জাপানের শ্রমবাজারে ছয় থেকে নয় মাসের ভাষা শিক্ষা কোর্স শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগও আছে। তবে ভাষা না জানলে সেখানে কোনো কাজ পাওয়া সম্ভব নয়।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে তিন মাসের মধ্যে এক লাখ কর্মী পাঠানো সম্ভব। শর্ত হচ্ছে, কর্মীরা জাপানি ভাষা জানবেন।’ তিনি বলেন, ‘শুধু পরিচর্যাকারী নয়, রেস্টুরেন্ট, কনস্ট্রাকশন, বিল্ডিং ক্লিনিং, কৃষি, মৎস্যশিল্প, অটোমোবাইল মেকানিকসহ ১৪ খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।’

জাপানের শ্রম আইন অনুযায়ী, একজন কর্মীর ন্যূনতম ঘন্টাভিত্তিক বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০০ টাকা। দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে মাসে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আয় হবে।

বাংলাদেশে জাপানি ভাষা শেখার সুযোগ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ৩২টি কেন্দ্রে চার মাসের কোর্স চালু করেছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও আন্তর্জাতিক ভাষা প্রতিষ্ঠান ‘একুশ’-এও ভাষা শেখানো হয়।

বিএমইটির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে ‘এন-ফোর’ পর্যায়ের জাপানি ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়। এসএসসি পাস শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেন। প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষা পাস করলে চার মাসের শিক্ষানবিশ পর্যায়ে জাপানে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশের শ্রমিকদের জাপানের নতুন শ্রমবাজারে পাঠানোর উদ্যোগে ইতোমধ্যেই ২৭টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে জাপানি ভাষা শিক্ষকের অভাব এবং দক্ষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন মন্ত্রণালয়ের কাছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের জন্য এ সুযোগ ধরে রাখতে হলে ভাষা প্রশিক্ষণ, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং নিয়মিত সমন্বয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।