সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠেছিল, ম্যাচটা আরেকটু তাড়াতাড়ি শেষ করা যেত কি না? তাওহিদ হৃদয় জানালেন, তাঁদের সেই চেষ্টা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে পারেননি। তাঁর কাছে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফলটাই গুরুত্বপূর্ণ।
হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়া কাপে আবুধাবিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে প্রায় একইরকম কথা বলেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাসও। তবে টুর্নামেন্টে প্রেক্ষাপটের কারণেই বি গ্রুপে রান রেট হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ।
এই গ্রুপ থেকে সুপার ফোরের দৌড়ে থাকা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের লক্ষ্য থাকবে রান রেট বাড়ানো। আফগানিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে তা পারলেও বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে করতে পারেনি। নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে শীর্ষে থাকা আফগানিস্তানের রান রেট ৪.৭০০। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের রান রেট ১.০০১।
গল্পটা যদিও বাংলাদেশের জন্য নতুন নয়। তুলনামূলক ছোট দলগুলোর বিপক্ষে সব সময়ই ভুগতে দেখা যায় তাদের। প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে ম্যাচ জেতা। অন্য দলগুলোর মধ্যে জয়ের পাশাপাশি রান রেট বাড়ানোর তাড়নাও দেখা যায়।
হংকংকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেন, ‘দিন শেষে ফলটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি না করতে পারতাম, তাহলে আপনারাই হয়তো কথা বলতেন। আমরা আরেকটু আগে খেলাটা শেষ করতে পারতাম। পরিস্থিতি যা দাবি করেছে, আমরা চেষ্টা করেছি ওভাবে খেলার জন্য।’
কিন্তু ছোট দলের বিপক্ষে খেলা হলেই বাংলাদেশ দলের এমন মানসিকতা দেখা যায় কেন? হৃদয়ের উত্তর, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যাঁরাই খেলি, তাঁরা সবাই মাঠে জেতার মানসিকতা নিয়েই যাই। দিন শেষে ম্যাচের ফলটা যে আমাদের পক্ষে এসেছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
শুরুতে ব্যাট করে হংকং বাংলাদেশের সামনে ভালো সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছিল। তাদের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১৪ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে তাড়া করে জেতে।
লক্ষ্য তাড়ায় নামার সময় কি বাংলাদেশের ভাবনায় ছিল ম্যাচটা তাড়াতাড়ি জিতে রান রেট বাড়ানোর? হৃদয়ের উত্তর, ‘এটা ছিল। তার থেকে বড় কথা, আগে নিশ্চিত করতে হবে ম্যাচটা যেন হাত থেকে না বেরিয়ে যায়। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ওভাবেই (তাড়াতাড়ি শেষ করার)। প্রয়োগের দিক থেকে যদি বলি, হয়তো আরেকটু আগে শেষ করা যেত। হয়তো আরও দু–এক ওভার আগে খেলাটা শেষ করতে পারতাম।’