২০১১ সালের স্মৃতিচারণে দেখা গেছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে একটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ৮৫ রান করে হেরেছিল ৫০ রানে।

১৪ বছর পর সেই একই লক্ষ্য ছিল দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এবারও বাংলাদেশ ২০ ওভারে খেলেছে, কিন্তু ১২৪ রানে হেরেছে মাত্র ১১ রানে। এ ব্যবধানে দেশের ক্রিকেটে ৩৯ রানের উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। এই ফলাফলের মাধ্যমে দেশের ক্রিকেট অবনতি হয়নি, বরং ধারাবাহিক উন্নতির প্রমাণ মিলেছে।

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে রান ও উইকেটের চেয়ে খেলার ধরনই মূল বিষয়। বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং কাল সেই দর্শন দেখিয়েছে। ছক্কা মারার চেষ্টা ও সঠিক সময়ে শট নেওয়ার উদাহরণ দেওয়ার মতো ছিল নুরুল হাসান সোহানের খেলা। তিনি ২১ বলে ১৬ রান করেছেন, যার মধ্যে নিজের ইনিংসের প্রথম বলেই ব্যাটের কানায় লেগে একটি ছক্কা এসেছে।

তাওহিদ হৃদয়ও মাঠে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। যদিও উইকেটের জন্য পেসারদের চাপের মধ্যে তিনি পুরোপুরি সফল হতে পারেননি, তবু তাঁর খেলা দলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

বাংলাদেশ দলের মেহেদী হাসান পেসারদের বিপক্ষে ইনসাইড–আউট খেলে রান সংগ্রহ করেছেন। তিনি ১০ বলে ১১ রান করেছেন। জাকের আলীও ছক্কা মারার চেষ্টা করেছেন, তবে ভাগ্য বা শটের সঠিকতা তাঁকে সহায়তা করেনি।

ওপেনিংয়ে পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান যথাক্রমে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাইফ হাসান একলা খেলেও দুটি ফিফটি করে দলের মর্যাদা ধরে রেখেছেন।

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে দলের স্ট্র্যাটেজি, শট নির্বাচন ও ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা গুরুত্বপূর্ণ। ১৪ বছরের ব্যবধানে দেশের ক্রিকেটে লক্ষ্য করা যায় সামান্য হলেও দৃশ্যমান উন্নতি। ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের তুলনায় এবারকার পারফরম্যান্সে দেশের ক্রিকেটের ধারাবাহিক উন্নতির প্রমাণ মিলেছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই ৩৯ রানের উন্নতি ভবিষ্যতের প্রতিটি ম্যাচে দলের সক্ষমতার ইঙ্গিত বহন করছে।