নিউ ইয়র্কের প্রগতিশীল রাজনীতিক জোহরান মামদানি ও সিরীয় বংশোদ্ভূত শিল্পী রামা দুয়াজির প্রেমকাহিনি যেন সিনেমার মতো। ডেটিং অ্যাপ ‘হিংজ’-এ পরিচয় থেকে শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে বিবাহে।

মামদানি এক সাক্ষাৎকারে হেসে বলেছিলেন, “আমি আমার স্ত্রীকে পেয়েছি হিংজ-এ। তাই বলি, এই অ্যাপগুলো এখনো সত্যিই কাজ করে।”

শিল্পী রামা দুয়াজি

রামা দুয়াজি একজন সিরীয়-আমেরিকান শিল্পী, বর্তমানে থাকেন ও কাজ করেন নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে। টেক্সাসে জন্ম নেওয়া রামা পড়াশোনা করেছেন ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি এবং নিউ ইয়র্কের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টসে।

তার শিল্পকর্মে উঠে আসে পরিচয়, অভিবাসন, নারী-অভিজ্ঞতা ও আত্মপরিচয়ের গল্প। রামা কাজ করেছেন অ্যাপল, দ্য নিউ ইয়র্কার, বিবিসি, স্পটিফাই ও কার্টিয়েরের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

ভালোবাসা থেকে বিবাহ

২০২৪ সালের শেষ দিকে দুবাইয়ে তাঁদের বাগদান সম্পন্ন হয়। এরপর ২০২৫ সালের শুরুতে নিউ ইয়র্কে ছোট পরিসরে সিভিল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে করেন মামদানি ও রামা। পরে তাঁরা উগান্ডা যান পারিবারিক উদযাপনে যোগ দিতে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, তিন দিনের সেই অনুষ্ঠান ছিল বেশ গোপনীয় ও নিরাপদ—এমনকি সেখানে ফোন জ্যামার পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছিল।

রাজনীতি ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য

জোহরান মামদানি নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য এবং শহরের প্রগতিশীল রাজনীতির অন্যতম মুখ। অন্যদিকে রামা রাজনীতির বাইরে থাকলেও শিল্পের মাধ্যমে সামাজিক ইস্যুতে নিজের অবস্থান জানান।

মামদানি বলেন, “রামা শুধু আমার স্ত্রী নয়—সে নিজেই এক অসাধারণ শিল্পী। নিজের পরিচয় ও কণ্ঠ সে নিজেই গড়ে তুলেছে।”

ভালোবাসার নতুন প্রতিচ্ছবি

জোহরান ও রামার সম্পর্ক শুধু একটি প্রেমকাহিনি নয়, এটি এক সময়ের প্রতিচ্ছবি—যেখানে ভালোবাসা মানে না সীমান্ত, সংস্কৃতি মিশে যায়, আর ডেটিং অ্যাপ থেকেও জন্ম নেয় নতুন গল্প।

তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন, ভিন্ন পটভূমি, পেশা কিংবা ভাষা কোনো বাধা নয়, যদি বোঝাপড়ার জায়গাটা সঠিক থাকে।