৩৪ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী জোহরান মামদানি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহর নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। শহরটির ইতিহাসে তিনি প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেন।

মঙ্গলবারের নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে মামদানি নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের স্বল্প পরিচিত আইনপ্রণেতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দৃশ্যমান ও প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট নেতাদের একজন হয়ে উঠলেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, মামদানি নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে (৬৭) পরাজিত করেছেন। দলীয় মনোনয়ন হারার পর কুওমো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

নির্বাচনী বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আগাম ভোটসহ এবারের নির্বাচনে ২০ লাখেরও বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন—যা ১৯৬৯ সালের পর থেকে কোনো মেয়র নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট।

মামদানি নির্বাচনী প্রচারণায় নিউ ইয়র্কে উচ্চাভিলাষী বামপন্থি নীতি প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি নগরীর সরকারি বাসে চলাচল ভাড়ামুক্ত করা, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ, ভাড়াটেদের আর্থিক চাপ কমানো এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সাশ্রয়ী রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি মুদি বাজার ও বেতনের মতো বিষয়গুলোতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

তার এসব প্রতিশ্রুতি ভোটারদের কাছে শক্তিশালী বার্তা হিসেবে পৌঁছায়। এই প্রচারণা আদর্শিক ও প্রজন্মগত প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টির জাতীয় নীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

নির্বাচনের আগের রাতে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্ব ধনকুবের ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে কুওমোকে সমর্থন জানান। তবে তাদের প্রভাবশালী সমর্থনও নিউ ইয়র্কের ভোটারদের মন পরিবর্তন করতে পারেনি।

মামদানি জয়ী হলে নিউ ইয়র্কে ফেডারেল তহবিল কাটছাঁটের হুমকি দেন ট্রাম্প। এখন দেখার বিষয়—নতুন মেয়র হিসেবে মামদানি কীভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক সামাল দেন।