জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রম গতিশীল করতে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারে থাকা মামলাগুলো এই কমিটির আওতার বাইরে থাকবে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে দেশজুড়ে হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়। এসব অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার মধ্যে কিছু মামলায় সম্প্রতি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিট দাখিলকৃত মামলার (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) প্রসিকিউশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নয়), বাংলাদেশ পুলিশের একজন প্রতিনিধি (ডিআইজি পদমর্যাদার নিম্নে নয়), জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন মনোনীত শহীদ পরিবারের একজন সদস্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মনোনীত একজন মানবাধিকারকর্মী, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন মনোনীত একজন আইনজীবী এবং আইন ও বিচার বিভাগের জিপি-পিপি অধিশাখার উপ-সলিসিটর (কমিটির সদস্য-সচিব)।

কমিটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংগ্রহ করবে (মামলার বর্তমান পর্যায় উল্লেখসহ)। এরূপ মামলার মধ্যে যেগুলোর চার্জশিট দাখিল হয়েছে, সেসব মামলায় (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) প্রসিকিউশনের কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করবে (যদি থাকে) এবং সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের কাছে প্রেরণ করবে।

এ ছাড়া কমিটি এর কার্যক্রমের অগ্রগতি ভুক্তভোগী পরিবার ও দেশবাসীকে সময়ে সময়ে অবহিত করবে এবং মামলার ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাবে।