দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কীভাবে জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয় অথচ নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আঘাত হানে না—এই রহস্য উদঘাটনের স্বীকৃতিতে তিন গবেষককে দেওয়া হয়েছে চিকিৎসা শাস্ত্রে এ বছরের নোবেল পুরস্কার।

সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট সোমবার (৫ অক্টোবর) চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। তারা হলেন—যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ম্যারি ব্রাঙ্কো ও ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের গবেষক সিমন সাকাগুচি।

রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার স্ব-নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া ও ‘রেগুলেটরি টি সেল’ বা নিয়ন্ত্রণকারী টি কোষের ভূমিকা নিয়ে তাঁদের যুগান্তকারী গবেষণা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই আবিষ্কার অটোইমিউন রোগ, অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

নোবেল কমিটি জানিয়েছে, দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা যেন নিজের টিস্যু ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আক্রমণ না করে, সেই সূক্ষ্ম ভারসাম্যের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই তিন গবেষক।

তাঁদের মধ্যে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার সমানভাবে ভাগ করা হবে।

এর মাধ্যমে চিকিৎসা শাস্ত্রের নোবেল ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হলো এ বছরের নোবেল পর্ব। মঙ্গলবার ঘোষণা হবে পদার্থবিদ্যায়, বুধবার রসায়নে, বৃহস্পতিবার সাহিত্যে, শুক্রবার শান্তিতে এবং সবশেষ ১৩ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি।

গত বছর চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ভিক্টর অ্যাম্ব্রস ও গ্যারি রাভকুন। তাঁরা মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং জিনের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা উন্মোচনের জন্য এ পুরস্কারে ভূষিত হন।