পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে টানা চারদিন ধরে চলা সহিংস বিক্ষোভে পুলিশসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসলামাবাদের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আঞ্চলিক রাজধানী মুজাফফরাবাদে আশপাশের শহর থেকে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর থেকেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ এখনো থামেনি।

বিক্ষোভ প্রশমনে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ রাজনীতিবিদদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন। তিনি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। শেহবাজ বলেন, ‘সরকার সবসময় আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সমস্যার সমাধানে প্রস্তুত।’

কর্তৃপক্ষ জানায়, বিক্ষোভের কারণে টানা চারদিন ধরে অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সময় ইন্টারনেট ও ফোন সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

মুজাফফরাবাদ থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, বুধবার একটি সেতুতে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করছে।

অঞ্চলের নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো জানায়, স্থানীয় রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের অনৈতিক সুবিধাভোগের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন শুরু হয়। কাশ্মীরি অধিকারকর্মী শওকত নওয়াজ মীর বলেন, ‘যখন আমরা হাসপাতালের জন্য ওষুধ চাই, তারা বলে অর্থ নেই। কিন্তু বিলাসী জীবনযাপনের জন্য অর্থ ঠিকই পাওয়া যায়।’

কাশ্মীরের আঞ্চলিক বিধানসভায় পাকিস্তানের অন্য অংশের প্রতিনিধিদের জন্য থাকা কোটা নিয়েও স্থানীয়দের ক্ষোভ রয়েছে। তাদের অভিযোগ, এ প্রতিনিধিদের ব্যবহার করে আঞ্চলিক সরকার গঠন বা ভেঙে দেওয়া হয়।

গত বছরও কাশ্মীরে একই ধরনের বিক্ষোভে অন্তত চারজন নিহত হয়েছিলেন। পরে সরকার বিদ্যুৎ ও আটার দামে ভর্তুকি দিতে এবং আন্দোলনকারীদের দাবি মেটাতে দুই হাজার ৪০০ কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছিল।