ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভোটের পাঁচদিন পর প্রথম সভা করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের জন্য পাঁচ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মনোনীত হয়েছে।
রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে কার্যনির্বাহী কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে সপ্তাহ ও মাসভিত্তিক এক্সিকিউটিভ প্ল্যান গ্রহণ করা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।”
সিনেটে পাঠানো পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন— ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, এজিএস মহিউদ্দীন খান এবং সদস্যদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া সাবিকুন্নাহার তামান্না ও পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ।
ফরহাদ বলেন, “নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে সিনেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালনের সময় কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে তা নিয়েও সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।”
জিএস ফরহাদ আরও বলেন, “আজ প্রথম ওয়ার্কিং ডে। প্রথম দিনেই গঠনতান্ত্রিক নিয়ম মেনে পরিচিতি সভা ও কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা যে যেই মতেরই হই না কেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে সবার ভয়েস তুলতে চাই।”
ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “আমরা যারা নির্বাচিত হয়েছি, সবাই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। নির্বাচনের পর থেকে আমরা সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। এখানে আসলে কারো ব্যক্তিগত জয় বা পরাজয় নেই। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে জুলাই প্রজন্ম, বিজয়ী হয়েছে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা।”
তিনি জানান, তারা ইতোমধ্যেই সাবেক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন এবং শিগগিরই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও মতামত সংগ্রহ শুরু করবেন। এরপর মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ছয় বছর পর গত ৯ সেপ্টেম্বর ভোটের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে ৩৮তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ। যদিও ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতি বছরই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা।