২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে; এ বছর পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ।

দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ; পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির এ ফল প্রকাশ করেন।

সারা দেশে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন; জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।

 সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছেন ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা- ২৬ হাজার ৬৩ জন।

এছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ১০ হাজার ১৩৭ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৬ হাজার ২৬০ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬ হাজার ৯৭ জন, যশোর বোর্ডে ৫ হাজার ৯৯৫ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৮ জনম, কুমিল্লা ২ হাজার ৭০৭ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ২ হাজার ৬৮৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ১ হাজার ৬৭৪ জন, কারিগরি বোর্ডে ১ হাজার ৬১০ জন ও সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন।

পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।

বোর্ড প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ওয়েবসাইটের ঠিকানার রেজাল্ট কর্নার-এ ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে।

শিক্ষার্থীরাও একই ওয়েবসাইট ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবে। এ ছাড়া, মোবাইলে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফলাফল জানা যাবে। তবে শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকা অফিস থেকে সরাসরি ফল পাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে।

ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত নির্দেশনা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ২৬ জুন এবং শেষ হয় ১৯ আগস্ট। নির্ধারিত সময়ের কিছুদিন পর কয়েকটি স্থগিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিলেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় সোয়া ১২ লাখ পরীক্ষার্থী।

এ বছর ঢাকা বোর্ডে ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন, রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪২ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০ জন, যশোর বোর্ডে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ লাখ ৩৫ জন, বরিশাল বোর্ডে ৬১ হাজার ২৫ জন, সিলেট বোর্ডে ৬৯ হাজার ৬৮৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৩২ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। 

এ ছাড়া, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে (আলিম) পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।

দেশের সব বোর্ডের ফল একযোগে প্রকাশ করা হয়েছে।