শরতের শেষাংশে আরও কয়েকদিন বৃষ্টি ঝরিয়ে মৌসুমি বায়ু হেমন্ত আসার আগেই বিদায় নেবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মধ্য অক্টোবরে কার্তিকের শুরু থেকেই বাতাস গতিপথ পরিবর্তন করবে। তাতে কমাতে শুরু করবে আর্দ্রতা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় রাজধানীতে ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, মধ্য অক্টোবর থেকেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিদায় নিতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের হিসাবে মুনসুন বা বর্ষাকাল জুন, জুলাই, অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর–এই চার মাস। মুনসুনের শেষ দিকে বরাবরই বৃষ্টির প্রবণতা থাকে। আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আরও কয়েকদিন বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে। তারপর অক্টোবরেই মৌসুমি বায়ু বিদায় নেবে।”
তিনি বলেন, সাধারণত বর্ষাকালে বাতাস দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়। তাতে সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্প এসে মেঘের সৃষ্টি করে, যা এ অঞ্চলে বৃষ্টি ঝরায়।
বাতাসের এই গতিপথ অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বদলাতে পারে জানিয়ে বজলুর রশিদ বলেন, "তখন বাতাস উত্তরে শুষ্ক অঞ্চল থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হবে, তাতে আর্দ্রতা কমবে, ফলে বৃষ্টিপাতও কমে যাবে।"
তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে শীতকালেও যে বৃষ্টি হতে পারে, সে কথা মনে করিয়ে দেন এই আবহাওয়াবিদ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা ১২ অক্টোবর পর্যন্ত চলতে পারে। ১৩ অক্টোবর আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পূর্বের পোস্ট :