বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষকদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ স্কিম চালু করলেও এর সুবিধা পাচ্ছেন খুব কমসংখ্যক কৃষক। সিন্ডিকেটের চাপে কৃষকদের বাধ্য হয়ে চড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ক্যাব আয়োজিত ‘ক্যাবের কার্যক্রম অবহিতকরণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘‘এ বছর কৃষকদের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা স্বল্প সুদে ঋণ বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু প্রান্তিক চাষীরা আদৌ এ ঋণের সুবিধা পাচ্ছেন কি না, সেটি বড় প্রশ্ন। এ ঋণ ঘিরে গড়ে উঠেছে বড় বড় সিন্ডিকেট। তাদের মাধ্যমে কৃষকদের চড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে।’’

তিনি আরও জানান, এসব সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং কৃষকরা যাতে ন্যায্য সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করতে আগামীতে ক্যাব আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।

ক্যাবের কর্মপরিধি প্রসঙ্গে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘‘আইন প্রয়োগ করা ক্যাবের কাজ নয়। ক্যাব অনিয়ম চিহ্নিত করে তা কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পরামর্শ দেয়, নির্দেশনামূলক সুপারিশ করে। এর বাইরে বড় ধরনের অনিয়ম বা জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রয়োজনে হাইকোর্টে রিট করা হয় ক্যাবের পক্ষ থেকে।’’

তিনি বলেন, ‘‘ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর, বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করেন। ক্যাব প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার না করে কেবল সুপারিশ করে। আগামীতেও ক্যাব এভাবে কাজ করবে।’’

সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের বার্ষিক পরিকল্পনাও উপস্থাপন করা হয়। পরিকল্পনায় সংস্থাটিকে আরও সুসংগঠিত করে ভোক্তাবান্ধব বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে ভোক্তাদের সচেতন করতে অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমে নানা উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. মুঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার, প্রচার সম্পাদক মো. মুসা মিয়া ও নির্বাহী কমিটির সদস্য শওকত আলী খান।