ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাই কিছু ঘটুক না কেন, মিডিয়া আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবেই। কিন্তু কোনো কারণ নেই এটা বিশ্বাস করার। কোনো সংবেদনশীল মানুষ এটা বিশ্বাস করবে না।’

টাইমস অব ইন্ডিয়া সোমবার এক খবরে দাবি করে, লস্কর–ই–তৈয়্যবা প্রধান হাফিজ সাঈদ বাংলাদেশকে ‘নতুন উৎক্ষেপণকেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে হামলার ছক কষছে।

এ বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যমের ওই খবরের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

আওয়ামী লীগের চিঠির প্রসঙ্গেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে কেউ যে কোনো কিছু নিয়ে জাতিসংঘে আপিল করতে পারে। জাতিসংঘ যদি আমাদের কিছু বলে, আমরা তখন সেটা দেখব। এখন আমাদের কিছু বলার নেই।’

বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নয় এমন নির্বাচনে সহযোগিতা না করার আহ্বান জানিয়ে ১ নভেম্বর জাতিসংঘকে চিঠি পাঠায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষে চিঠি পাঠান সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এদিকে মার্কিন সিনেটে পাস হওয়া ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ভারসাম্যের নীতি বজায় রেখেছে এবং তা বজায় রাখবে। চীন থেকে অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আশঙ্কাও তিনি দেখছেন না।

চীনা সামরিক সংস্থাগুলোর অস্ত্র রপ্তানি প্রতিরোধ ও তাদের শিল্প নেটওয়ার্ক শনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইনকেই ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ বলা হয়।