নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নকে ঘিরে প্রয়াত নেতা ফজলুল রহমান (পটল)–এর দুই সন্তান—ফারজানা শারমিন (পুতুল) ও ইয়াছির আরশাদের (রাজন) মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দিয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর ফারজানা শারমিনকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকেই এ বিরোধ শুরু হয়।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ইয়াছির আরশাদের সমর্থকেরা ফারজানার মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে লালপুরের শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
সমাবেশে ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম বলেন, ‘ফজলুর রহমান লালপুর-বাগাতিপাড়ার প্রাণপুরুষ ছিলেন। তাঁর সুযোগ্য ছেলে চিকিৎসক ইয়াছির আরশাদ বাবার জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাই আমরা তাঁকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাই। না হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
দুয়ারিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ইয়াছির আরশাদের জনপ্রিয়তার তুলনা নেই। তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে আমরা এমপি হিসেবে কল্পনাই করতে পারি না। আমরা অবিলম্বে মনোনয়ন পরিবর্তন চাই।’
সমাবেশে ইয়াছির আরশাদ উপস্থিত ছিলেন না, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেককে সেখানে দেখা গেছে।
মুঠোফোনে প্রথম আলোকে ইয়াছির আরশাদ বলেন, ‘জনমত উপেক্ষা করে কোনো মত চাপিয়ে দিলে দলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমি আশা করব, দল সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে এবং তৃণমূলের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দেবে। আমি লালপুরে জন্মেছি, লালপুরেই আমার সংসার। এখানকার মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই।’
অন্যদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফারজানা শারমিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের ভাই–বোনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। একটি কুচক্রী মহল আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। সাত দিনের মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। জনপ্রিয়তা যাচাই করেই দল মনোনয়ন দিয়েছে। এলাকার মানুষ বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করবেন।’
ফারজানা শারমিনকে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই ইয়াছির আরশাদের সমর্থক ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক ও মনোনয়নপ্রত্যাশী তাইফুল ইসলাম (টিপু)–এর অনুসারীরা রেলপথ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
এদিকে শনিবার বিকেলে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফারজানা শারমিন বাগাতিপাড়া স্কুল মাঠে জনসভা করেছেন। সেখানে লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বের পোস্ট :