সূচকের পতন কাটিয়ে উঠলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, কমেছে লেনদেন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬ পয়েন্ট।

বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ ৫ পয়েন্ট বাড়লেও কোনো পরিবর্তন আসেনি শরীয়া ভিত্তিক সূচক ডিএসইএসে।

সোমবার ঢাকার বাজারে ৪০২ কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। ১১৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৯৯ কোম্পানির এবং পরিবর্তন আসেনি ৮৬ কোম্পানির শেয়ারের দামে।

এ, বি, জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। বিশেষ করে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ৭২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১০৯ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসই ব্লক মার্কেটে ৩০ কোম্পানির ৪৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। খান ব্রাদার্স সর্বোচ্চ ১৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সারাদিনে ডিএসইতে ৭০৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৭৩২ কোটি টাকা।

৯ শতাংশের ওপরে দর বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে রুপালি ব্যাংক পিএলসি এবং ৭ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।

ঢাকার দশাই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই); সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬ পয়েন্ট।

সিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী; লেনদেন হওয়া ২১৯ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭০, কমেছে ১১৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সারাদিনে সিএসইতে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ১২ কোটি টাকা।

৯ শতাংশের ওপর দর বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এবং ১০ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।