পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়ার ছাদে সৌরশক্তি ব্যবহার করে ৬০৩৩ কিলোওয়াট-পিক (কেডব্লিউপি) বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব এবং এ লক্ষ্যে ৬ মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে চলতি সপ্তাহে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি ইনফ্রাসট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) পদ্মা সেতুতে সৌর বিদ্যুতের সম্ভাবনা নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে। ইডকল জানিয়েছে, পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এ ১৯৬৬ কেডব্লিউপি ও সার্ভিস এরিয়া-২ এ ২৯৪৮ কেডব্লিউপি এবং সার্ভিস এরিয়া-৩ এ ১১১৯ কেডব্লিউপি অর্থাৎ মোট ৬০৩৩ কেডব্লিউপি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
এ সক্ষমতাকে কাজে লাগাতেই সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নির্দেশে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং ওমেরা রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডের এর মধ্যে ২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো: ফেরদাউস এবং ওমেরা রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেড এর পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী আগামী ০৬ মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১৪ মার্চ পদ্মা সেতুতে সোলার সিস্টেমের কাজ সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ 'জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি' প্রণয়ন করেছে যার আলোকে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়াতে সোলার সিস্টেম স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
এই প্রক্রিয়ায় নেট মিটারিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় করা হবে। ফলশ্রুতিতে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় হবে বলেও জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।